‘যারা খেলছেন খেলা স্টপ করেন’ - শামীম ওসমান
লিখেছেন লিখেছেন কবরের ডাক ১৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:০৬:১০ দুপুর
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে শামীম ওসমান বসে আঙ্গুল চুষবে, আমি ওই নেতা না। যারা খেলছেন তারা খেলা স্টপ করেন। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আর একটা খেলা খেললে ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেকটা ঘটনার প্রতিশোধ সুদে-আসলে নেওয়া হবে। আর ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ বহু সহ্য করেছি, বহু কর্মী মারা গেছে, বহু কর্মীর লাশ এই হাত দিয়ে দাফন করেছি।
রবিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমুলপাড়া রেললাইন এলাকায় থানা যুবলীগের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কাঙালী ভোজ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ষড়যন্ত্র বেশি হচ্ছে। মনে হচ্ছে খন্দকার মোশতাক নারায়ণগঞ্জের মাটিতে এসেছে। এজন্যই এখানে মীর জাফরের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। আমি বিএনপি-জামায়াতকে গোনায় ধরি না। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে মোকাবেলা হবে। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে।
শামীম ওসমান তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সমালোচনা করে বলেন, হজ করতে গেলে মাহরাম লাগে। কিন্তু আইভী তার বয়ফ্রেন্ড সুফিয়ানকে নিয়ে হজে যায় আর খালেদা জিয়া যায় ফালুকে নিয়ে।
সভার সভাপতি থানা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি সম্পর্কে শামীম ওসমান বলেন, এ এলাকার যুবলীগের সভাপতি মতি। তার বিরুদ্ধেও লিখে দেওয়া হয়েছে মতি হ্যান, মতি ত্যান। মতি খুনি দুনিয়ার কথা লিইক্কা দিছে। হাতির পাঁচ পা দেখছেন? হাতির পাঁচ পা দেখেন নাই কিন্তু। দুই নাম্বারী যারা আমরা তাদের চিনি।
শামীম ওসমান বক্তব্যে বলেন, ওরা যদি লড়াই করতে চায় তাহলে লড়াই হবে। ওরা আমাদের মারে আর আমরা আইনের শাসনের কথা বলি। ওরা যা ইচ্ছে মিথ্যাচার করে। ওদের মুখপত্র হচ্ছে কিছু পত্রিকা। ওই প্রথম আলো মার্কা একটি পত্রিকা। নারায়ণগঞ্জেও একটা অনলাইন পোর্টাল আছে।
সভায় অারও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মনোয়ারা বেগম। উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন
জনাব শামীম ওসমান ঠিকই বলেছেন যে, মহিলাদের জন্য সফরে বের হতে হলে মাহরাম প্রয়োজন। খালেদা জিয়া মাহরাম ছাড়া হজে গেছেন এটাও সত্য কথা। আর এ কথাটা শামীম ওসমান খুব সুখের সাথে বলেছেন এবং বলতে পারার জন্য তৃপ্তির ঢেঁকুরও তুলেছেন।
উনার মতো একজন বড় নেতা যখন এমন কথা বলে ফেলেন তখন অনেক প্রশ্নই সামনে এসে যায়। যা কোনোদিনই বলতে চাইনি সেটাও আজকে বলার সাহস পেয়ে যাচ্ছি। শুধু যে আমি তা নয় বরং এখন অনেকে তা বলে ফেলবেন সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
খালেদা জিয়া মাহরাম ছাড়া বাইরে গেছেন - এটা জিয়াউর রহমান মারা যাবার পরের ঘটনা। জিয়া বেঁচে থাকতে খালেদা জিয়া মাহরাম ছাড়া বাইরে গেছেন এমন ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে শামীম ওসমানের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর স্বামী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া বেঁচে থাকা অবস্থাতেই অসংখ্যবার মাহরাম ছাড়া বাইরে গেছেন। এমনকি বাড়িতে থেকেছেনও একা। আর এখন তো যাচ্ছেনই। তিনি যে কাজ করলে অপরাধ হয় না সে একই কাজ অন্য কেউ করলেই দুনিয়া অশুদ্ধ হয়ে যায়।
এখন যদি শামীম ওসমানের বিরোধী পক্ষের কেউ বিষয়টি কটাক্ষ এবং ব্যঙ্গ করে প্রচার প্রচারণা শুরু করে তাহলে সেটা কার দোষ হবে? কেনো আপনারা অহেতুক এভাবে নোংরামী করে সমাজটাকে কলুষিত করছ্নে?
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন